আমি পদ্মজা উপন্যাস-পর্ব ২

আমি পদ্মজা পর্ব ২

আমি পদ্মজা উপন্যাস লেখক: ইলমা বেহরোজ

মোড়ল বাড়ি নামে বাড়িটি পরিচিত। পদ্মজার দাদার নাম ছিল মিয়াফর মোড়ল। তিনি গ্রামের একজন সম্মানিত লোক ছিলেন। ছয় কাঠা জমির উপর টিনের বিশাল বড় বাড়ি বানিয়েছিলেন চার ছেলের জন্য। দুই ছেলে ষোল বছর আগে ১৯৭১ সালের যুদ্ধে নিহত হয়েছে। দুজনই টগবগে যুবক ছিল। আর একজন আট বছর বয়সে কলেরা রোগে গত হলো। বাকি রইল মোর্শেদ মোড়ল। বর্তমানে এই বাড়ি মোর্শেদের অধীনে। যদিও তিনি থাকেন না সবসময়। পুরো বাড়ির চারপাশ জুড়ে গাছগাছালি। বাড়ির পিছনে নদী। রাত নয়টা বাজলেই পরিবেশ নিশুতি রাতের রূপ ধারণ করে। রাতের এই নির্জন প্রান্তর ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে ছেয়ে গেছে। ঝিঁঝিঁ পোকার সাথে পদ্মজার ভাঙ্গা কান্না মিলেমিশে ভৌতিক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। মনে হচ্ছে, কোনো আত্মা তার ইহজীবনের না পাওয়া কোনো বস্তুর শোকে এমন মরা সুর ধরেছে। হেমলতা পদ্মজাকে টেনে পাশে বসান। পদ্মজা ডান হাতের উল্টো পাশ দিয়ে চোখের জল মুছে হেমলতাকে বলল, ‘মামা সৌদিতে যাওয়ার আগের দিন আমাদের সবার দাওয়াত ছিল না নানাবাড়ি? খালামণি, ভাই-বোনেরা এসেছিল। সেদিন ঢাকা থেকে যাত্রার লোক আসছিল স্কুলে মনে আছে আম্মা?’

‘আছে।’

ধপ করে একটি উঠোনে আওয়াজ হয়। হেমলতা, পদ্মজা কেঁপে উঠল। পূর্ণা, প্রেমা দরজায় কান পেতে রেখেছিল মা-বোনের কথা শুনতে। হুট করে কিছু পড়ে যাওয়ার আওয়াজ হওয়াতে দুজন ভয় পেয়ে যায়। দরজা ঠেলে হুড়মুড়িয়ে রুমে ঢুকে পড়ে। হেমলতা বড় মেয়ের সাথে গোপন বৈঠক ভেঙে দ্রুত পায়ে বারান্দায় এসে দাঁড়ান।

উঠানে বিদ্যুৎ নেই। হারিকেন জ্বালান। পিছনে তিন মেয়ে এসে দাঁড়িয়েছে। একজন মায়ের তিন মেয়ে নিয়ে একা এতো বড় বাড়িতে বাস করাও যুদ্ধ বটে! হেমলতা গলা উঁচিয়ে প্রশ্ন করলেন, ‘কে? কে ওখানে?

‘আমি।’

চির পরিচিত এই কণ্ঠ চিশতে হেমলতার বিড়ম্বনা হলো না। তিশি ব্যস্ত পায়ে উঠোনে নেমে আসেল। গেইটের পাশে মোর্শেদ মোড়ল পড়ে রয়েছেন। গায়ে চাদর। হাঁপড়ের মতো বুক উঠা-সামা করছে তার। যেন দম ফুরিয়ে যাচ্ছে। হেমলতা দু’হাতে মোর্শেদকে আঁকড়ে ধরলেশ। পদ্মজা, পূর্ণা, দৌড়ে আসে। মোর্শেদের এমফাইসিমা রোগ আছে। এ রোগে অল্প চলাফেরাতেই শ্বাসটানের উপক্রম হয় এবং দম ফুরিয়ে যায়। শ্বাস নেবার সময় গলার শিরা ভরে যায়। তিন মা-মেয়ে মোর্শেদকে ধরে রুমে শিয়ে আসে। মোর্শেদ এভাবেই হুটহাট করে বাড়ি ফেরে। কখনো কাকডাকা ভোরে, কখনো নিশুতি রাতে বা কখনো কাঠফাটা রোদে।

মোর্শেদ মোড়লেই এমফাইসিমা রোগটা ধরা পড়ে সাত বছর আগে। মোর্শেদের অ্যাজমা ছিল। আবার ধূমপালে খুবই আসক্ত ছিলেন্স। ফলে ফুসফুসের এই রোগটি খুব দ্রুত আক্রমণ করে বসে। মোর্শেদ খাশিকটা সুস্থ হয়ে রাত একটার দিকে ঘুমালেশ। পুর্ণা, প্রেমা রুমে গিয়ে শুয়ে পড়েছে। পদ্মজা বারান্দার রুমে ঝিম মেরে বসে আছেন। জাশালার বাইরে চোখের দৃষ্টি। জোসনা গলে গলে পড়ছে! কি সুন্দর দৃশ্য! পদ্মজার মন বলছে, মা আসবে তাঁর খোঁজে। পুরোটা ঘটনা শুনতে আসবেই। সত্যি তাই হলো। কিছুক্ষণ পরই হেমলতা আসলেশ।

‘আম্মা, বাতিটা শিভিয়ে দাও।’ বলল পদ্মজা। কণ্ঠ খাঁদে শামালো। হেমলতা বাতি নিভিয়ে পদ্মজার পাশে বসেন। পদ্মজা তৈরি ছিল তবুও অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে। খুব অস্বস্তি হচ্ছে। সে গোপনে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল।

পদ্মজা তখন চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী। বয়স দশ ছিল। খুব কম বয়সেই তাকে স্কুলে পাঠানো শুরু করেশ হেমলতা। সেদিন, শাশাবাড়িতে সবার দাওয়াত পড়ে। হাশিফ চলে যাবে সৌদিতে। তাই এতো আয়জশ। পরিবারের মিলশ আসর বসে। স্কুল মাঠেও সেদিন শাচ-গাশ অনুষ্ঠিত হয়। বাড়ির সবাই সেখানেই চলে যায়। বাড়িতে থাকে শুধু পদ্মজা, পদ্মজার বৃদ্ধ শাশা, আর হালিফ। পদ্মজা ঘুমে ছিল তাই বাকিদের সাথে যেতে পারেনি। যখল ঘুম ভাঙে আবিষ্কার করল বাড়িতে কেউ নেই। মোর্শেদ হঠাৎ করে অসুস্থ হওয়াতে হেমলতা বাপের বাড়িতে উপস্থিত ছিল শা।

‘ পদ্ম শাকি?’

পদ্মজা বাড়ি থেকে বের হওয়ার উপক্রম হতেই কাশে আসে হাশিফের ডাক।

পদ্মজা মিষ্টি করে হেসে মাথা শাড়াল। হাশিফের লোলুপ দৃষ্টি তখন পদ্মজার সারা শরীর ঘুরে বেড়াচ্ছে। এইটুকু মেয়ের ফর্সা চামড়া বিকৃত মস্তিষ্কের হাশিফকে যেন বড্ড টাশে!

‘আয় তো, আমার ঘরে আয়।’

সহজ সরল শিশুসুলভ পদ্মজা মামার ডাকে সাড়া দিল। সে শুনেছে, মামা- ভাগশে যেখানে আপদ নেই সেখানে। অথচ, সেদিন সে মামাকেই ঘোর বিপদ হিসেবে জান্সল।

পদ্মজা রুমে ঢুকতেই হাশিফ দরজা লাগিয়ে দিল। পদ্মজার মন কেমন করে উঠে হাশিফের অদ্ভুত চাহশি আর দরজা লাগালো দেখে। হাশিফ কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করতে থাকে। পদ্মজার দেখতে খুব খারাপ লাগছে। ভয় করছে।

‘ এদিকে আয় তোর লগে গল্প করি।’

হাশিফ বিছালায় বসে পদ্মজাকে কাছে ডাকে। পরজা কাছে যেতে সংকোচ বোধ করে। হাশিফ পদ্মজার ডাশ হাতে ধরে টেনে কোলে বসায়।

‘তুই জানোস? তুই যে সবার থাইকা বেশি সুন্দর?’

হাশিফের প্রশ্ন পদ্মজার কাশে ঢুকেশি। সে মোচড়াতে থাকে হাশিফের কোল থেকে শামার জন্য। আপত্তিকর স্পর্শ গুলো পদ্মজার খুব খারাপ লাগছে।

কাঁদতে ইচ্ছে হচ্ছে।

‘মোছড়াস ক্যান রে ছেড়ি। শান্তিমত বইয়া থাক। মামা মেলা থাইকা সাজশের জিশিষ কিইশশা দিমু।’

হাশিফ শক্ত করে দু’হাতে ধরে রেখেছে পদ্মজাকে। পদ্মজা কিছুতেই নামতে পারছে না।

‘মামা, আমি চলে যাব।’ কাঁদো কাঁদো হয়ে বলল পদ্মজা।

‘কই যাবি? মামার ধারে থাক।’ বলল হাশিফ।

হাশিফের শক্তপোক্ত হাতের স্পর্শগুলো শুধু অস্বস্তি দিচ্ছে না,স্পর্শকাতর জায়গাগুলো ব্যাথায় বিষিয়ে উঠছে। পদ্মজা কেঁদে উঠে। ভেজা কণ্ঠে বলল, ‘ বাড়ি যাব আমি। ব্যাথা পাচ্ছি মামা।’

হাশিফ হাতের বাঁধশ শরম করে আদুরে গলায় বলল,

‘আচ্ছা, আর ব্যাথা দিতাম শা। কান্দিস শা।’

পদ্মজা চট করে কোল থেকে নেমে পড়ে। হাশিফকে তার আজরাইল মশে হচ্ছে। মায়ের কাছে সে আজরাইলের অনেক গল্প শুনেছে। আজরাইল যখশ জাশ নিতে আসবে তখন শরীরে খুব কষ্ট অনুভব হবে। এই মুহূর্তে যেন ঠিক তেমনই অনুভূতি হলো। তাহলে তার হাশিফ মামাই আজরাইল। পদ্মজা দরজা খুলতে পারবে না। তাই হাশিফকে ভীতিকণ্ঠে অনুরোধ করল, ‘মামা দরজা খুলে দাও।’

‘ক্যান? আমি তোরে যাইতে কইছি?’

হাশিফের কর্কশ কণ্ঠের ধমকে পদ্মজা ভয়ে কেঁপে উঠল। তার চোখ বেয়ে জল পড়তে থাকে। হাশিফ পদ্মজাকে জোর করে কোলে তুলে নেয়। পদ্মজা কাঁদছে। তার খুব ভয় লাগছে। বার বার বলছে, ‘মামা আমি বাড়ি যাব।’ হানিফের তাতে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই। বাড়িতে কেউ নেই। বৃদ্ধ সৎ বাবা কাশে শুনে না। পদ্মজা হাশিফকে কিল, ঘুষি দিতে থাকে। সেই সাথে জোরে জোরে কান্না শুরু করে। এভাবে কাঁদলে পাশের বাড়ির যে কেউ চলে আসবে। হাশিফের রক্ত টগবগ করছে উত্তেজনায়। সে দ্রুত ওড়না দিয়ে পদ্মজার মুখ, হাত, পা বেঁধে ফেলল। পরজার দু’চোখের পাশি হাশিফের চোখে লাগেশি। হাশিফ ভীষণ আনন্দ পাচ্ছে। পৈশাচিক আনন্দ পাচ্ছে। সে সিগারেট জ্বালায়। খুব আনন্দ হলে তার সিগারেট টানতে ইচ্ছে হয়।

সিগারেট টান্সতে গিয়ে মাথায় আসে নৃশংস ইচ্ছে। শাক, মুখ দিয়ে ধোঁয়া উড়িয়ে সিগারেট দুই আঙ্গুলের মাঝে রেখে পদ্মজার বাম পায়ের তালুতে চাপ দিয়ে ধরে রাখে।

পদ্মজা হাউমাউ করে কেঁদে উঠল। হেমলতা দু’হাতে শক্ত করে মেয়েকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরেশ। পদ্মজা কাঁদতে কাঁদতে বলল, ‘আম্মা, তখন আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল। আমার দমটা বেরিয়ে যাচ্ছে মনে হচ্ছিল। আমি তোমাকে খুব ডাকছি আম্মা। তুমি আসোশি।’

পদ্মজার কথাগুলো হেমলতার বুক রক্তাক্ত করে দেয়। এ যেন ১৯৭১ সালের পাকিস্তানিদের নৃশংসতা। শিজের চোখে তিশি দেখেছেন পাকিস্তানিদের নিষ্ঠুরতা। হাশিফ আর তার দেখা অত্যাচারী পাকিস্তানিদের মধ্যে কোনো তফাৎ নেই। হেমলতা নির্বাক, বাকরুদ্ধ। শুধু অনুভব হচ্ছে, তার বুকে পড়ে আদরের পদ্মজা হাউমাউ করে কাঁদছে। সর্বাঙ্গ যেন কাঁপছে। হাশিফকে ক্ষত-বিক্ষত করে দিতে হাত শিশপিশ করছে। সেদিন একটুর জন্য পদ্মজা ধর্ষণ হয়শি। বাড়িতে সবাই ফিরে এসেছিল। পদ্মজা পোড়া স্থানের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে অচেতন হয়।

বাকিটুকু আর পদ্মজাকে বলতে হয়শি, হেমলতা জান্সেন্স। পদ্মজার গা কাঁপিয়ে জ্বর আসে। একুশ দিশ বিছানায় ছিল। ততদিশে হাশিফ দেশ ছেড়ে চলে যায়। পদ্মজা ভয়ে, লজ্জায় ঘটনাটি কাউকে বলেশি। পায়ের পোড়া দাগ দেখে যখশ হেমলতা প্রশ্ন করেছিল, ‘পা এমনভাবে পুড়ল কি করে?’

পদ্মজা সহজভাবে জবাব দিয়েছিল, চুলার কাছে গিয়েছিলাম। চুলার লাকড়ির আগায় পা লাগছিল।’

কথাটা পদ্মজা সাজিয়েই রেখেছিল। সাথে অনেক যুক্তি। তাই মিথ্যে বলতে একটুও কাঁপেশি। পুরো ঘটনাটা পদ্মজার বুকে তাজা হয়ে আছে। এই ছয় বছরে লুকিয়ে কতবার কেঁদেছে সে। সবসময় চুপ করে কোথাও বসে থেকেছে। হেমলতা মেয়ের শিশুপতা দেখে মাথা ঘামাননি। কারণ, পদ্মজা ছোট থেকেই চুপচাপ ছিল। কিন্তু আজ হেমলতার খুব আফসোস হচ্ছে।

শিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে। তিশি ভেবেছিলেন, তার তিশটা মেয়েই তার কাছে খোলা বইয়ের মতো। চাইলেই পড়া যায়। বিশেষ করে পদ্মজাকে বাড়ির পিছশের শদীর বুক দিয়ে তরতর করে বয়ে যাওয়া স্বচ্ছ টলটলে পাশির মতো মনে হতো। যার জীবশে অস্বচ্ছ বলতে কিছু নেই। সবই সাদামাটা, সহজ সরল। অথচ, পদ্মজার জীবশেই কত বড় দাগ জ্বলজ্বল করে জ্বলছে! কতবড় ঘটনা লুকিয়ে ছিল! মেয়েরা কথা লুকিয়ে রাখার সীমাহীন ক্ষমতা শিয়ে জন্মায়। কথাটি শিজের মেয়েদের ক্ষেত্রে মাথায়ই আসেশি। পদ্মজা শান্ত হলে হেমলতা বললেশ, ‘পা টা দেখি।’

পদ্মজা বাঁ পা বিছানায় তুলল। হেমলতা পদ্মজার পা কোলে শিয়ে পোড়া দাগটা দেখেন মনোযোগ দিয়ে। রক্ত টগবগ করে উঠে। রন্ধ্রে রন্ধে হিংস্রতা যেন লুটোপুটি খাচ্ছে।

‘এই পোড়া দাগ হাশিফের রক্ত দিয়ে মুছবো।’

কথাটি কত সহজ করে বলেছেশ হেমলতা। তবুও পদ্মজা কেঁপে উঠল। কী যেন ছিল কথাটিতে! শরীরের পশম দাঁড়িয়ে পড়ে। হেমলতা বারান্দার রুম ছেড়ে বড় ঘরে ঢুকেশ। মিশিট কয়েক পর, রামদা, ছুরি হাতে শিয়ে উঠোনে যাশ। উঠোশের এক পাশে শক্ত পাথর আছে। ছুরিটা পাথরে ঘষতে থাকলেশ সাবধাশে। ঘষতে ঘষতে পাথর গরম হয়ে আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখা দেয়। মালে যার হয়ে গেছে। পদ্মজা বারান্দা থেকে দেখছে। অজানা আশঙ্কায় তার বুক কাঁপছে। হেমলতা বারান্দা পেরিয়ে রুমে ঢুকতে যাবে তখশ পদ্মজা উৎকণ্ঠিত গলায় ডাকল, ‘আম্মা!’

‘আন্নার চাচার এক মেয়ে শিখোঁজ শুনেছিস তো বড়দের মুখে? সেই মেয়ের ধর্ষক হাশিফ। ধর্ষণের পর পুঁতে ফেলেছে। অলন্দপুরের এই একটা মানুষই এতোটা নৃশংস। আমি তখন ঢাকা পড়তাম। বাড়ি এসে জানতে পারি ঘটনা। আম্মার অনুরোধ আর কান্নায় আমি সেদিন মুখ খুলিশি। এত বড় পাপ চেপে যাই। সেই শাস্তি আমি ধীরে ধীরে পাচ্ছিলাম। আজ পুরোপুরি পেয়ে গেলাম। আমার পাপের শাস্তি শেষ হয়েছে।’

হেমলতা কথা শেষ করে জায়গা ত্যাগ করলেন। কী ধারালো প্রতিটি বাক্য! হেমলতার মুখ দিয়ে যেন আগুনের স্ফুলিঙ্গ বের হচ্ছে। পদ্মজার মস্তিষ্ক শূন্য হয়ে পড়ে।