আমি পদ্মজা – ৫
আমি পদ্মজা উপন্যাস লেখক: ইলমা বেহরোজ
লাহাড়ি ঘর দু’ভাগ করা হয়েছে চাদর টানিয়ে। একপাশের চৌকিতে হেমলতা এবং মোর্শেদ থাকেন। অন্যপাশের চৌকি পদ্মজা, পূর্ণা ও প্রেমার দখলে। লাহাড়ি ঘরের পিছনের দরজা আপাতত প্রধান দরজা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। পিছনে অনেক কচু গাছ ছিল। হেমলতা মোর্শেদকে নিয়ে জায়গা খালি করেছেন। এরপর সেখানে মাটির চুলা তৈরি করা হয়েছে। বড় সড়কে উঠার জন্য ঝোপঝাড় কেটে সরু করে পথ করা হয়েছে। এতে মোর্শেদের সাহায্য ছিল না। হেমলতা দুই মেয়েকে নিয়ে একাই করেছেন। শুটিং দলে অনেক পুরুষ। পদ্মজাকে ভুলেও তাদের সামনে দিয়ে আসা- যাওয়া করতে দেওয়া যাবে না। হেমলতার মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে, পদ্মজার মুখ পুড়িয়ে দিতে। পরক্ষণেই শিজের উপর ঘৃণা চলে আসে। কী করে শিজের মেয়ের প্রতি এমন মনোভাব আসতে পারে? অথচ, পদ্মজার হাতে সূচ ফুটলে হেমলতার মণে হয় শিজের শরীরে আঘাত লেগেছে। কী জন্য এতো টাল পদ্মজার প্রতি? ভেতরে ভেতরে হেমলতা এই প্রশ্নের উত্তর জানেন। শুধু প্রকাশ পায় না। শা জানার ভান ধরে থাকেশ।
‘আম্মা? আজ আমি রাঁধি?’
পদ্মজার প্রতিদিনের প্রশ্ন! হেমলতা রাঁধতে দিবেন না জানা সত্ত্বেও পদ্মজা প্রতিদিন অনুরোধ করে। হেমলতা বিপদ-আপদ ছাড়া পদ্মজাকে রান্নাঘরে পাঠাশ শা। সোনার শরীরে মাটির চুলার কালি লাগাতে হেমলতার মায়া লাগে। তিশি হাসেল। পদ্মজা মুগ্ধ হয়ে দেখে। হেমলতার বয়স ছয়ত্রিশ। শ্যামলা চেহারা। দাঁতগুলো ধবধবে সাদা। চোখের মণি অন্যদের তুলশার বড় আর গাঢ় কালো। চোখ দুটিকে গভীর পুকুর মশে হয়। ছিমছাম গড়শ। পূর্ণা যেনো মায়েরই কিশোরী শরীর। তবে তারা তিশ বোনই মায়ের মতো
চিকশ আর লম্বা।
‘আচ্ছা, আজ তুই রাঁধবি।’
পদ্মজা ভাবেশি অনুমতি পাবে। আদুরে উল্লাসে প্রশ্ন করে, ‘সত্যি আম্মা?’
‘যা, জলদি। আছরের আজান কবে পড়েছে!’
পদ্মজা রান্নার প্রস্তুতি শিতে থাকে। পূর্ণা আর প্রেমা হিজল গাছের শিচে পাটি বিছিয়ে লুডু খেলছে। প্রেমা বাটপারি করে। এ শিয়ে কিছুকক্ষণ পর পর তাদের মাঝে তর্ক হচ্ছে। সকালে বৃষ্টি হয়েছে। রান্না করতে গিয়ে পদ্মজা ভেজা মাটির সোঁদা গন্ধ পেল। কী সুন্দর অনুভূতি!
মোর্শেদ পদ্মজাকে রাঁধতে দেখে কপাল কুঁচকে ফেললেন।
ঘরে ঢুকে হেমলতাকে মেজাজ দেখিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেশ, ‘এই ছেড়ি রাঁন্ধে
ক্যান?
হেমলতা নির্লিপ্তভাবে জবাব দেন, ‘আমি বলেছি।’
‘কতদিশ কইছি এই ছেড়ির হাতের রান্ধন আমারে না খাওয়াইতে?’
মোর্শেদের কঠিশ স্বর পদ্মজার কাশে আসে। মুহূর্তে খুশিটুকু ফাটা বেলুশের মতো চুপসে যায়। সে জানে এখশ ঝগড়া শুরু হবে। তার আম্মা, আব্বার অনুচিত কথাবার্তা মাটিতে পড়তে দেন শা। তার আগেই জবাব ছুঁড়ে দেন।
‘খেতে ইচ্ছে না হলে খাবা না।’
‘রাইতবেলা লা খাইয়া থাকবাম আমি?’
‘খাবার রেখেও যদি শা খেতে চাও সেটা তোমার সমস্যা। আমি বা আমার মেয়ে কেউই শা করিশি।’
মোর্শেদ কিছু নোংরা কথা শোনাতে প্রস্তুত হোন। হেমলতা সেলাই মেশিন রেখে উঠে দাঁড়াশ। তিশি যেন বুঝে গিয়েছেন্স মোর্শেদ কী বলবেশ। আঙ্গুল তুলে শাসিয়ে মোর্শেদকে বললেশ, ‘একটা নোংরা কথা উচ্চারণ করলে আমি আজ তোমাকে ছাড় দেব শা। পদ্ম তোমার মেয়ে। আল্লাহ সইবে না। শিজের মেয়ে সম্পর্কে এতো নোংরা কথা কোনো বাবা বলে শা।’
মোর্শেদ নোংরা কথাগুলো হজম করে শিলেশ। তবে কিড়মিড় করে বললেশ,
‘পদ্ম আমার ছেড়ি শা।’
‘পদ্ম তোমার মেয়ে। আর, একটা কথাও শা। বাড়িতে অনেক মানুষ। শিজের বিকৃত রূপ লুকিয়ে রাখ।’
মোর্শেদ দমে যান। চৌকিতে বসে বড় করে নিঃশ্বাস ছাড়েন। চোখের দৃষ্টি অস্থির। পদ্মজার জন্মের পর থেকেই হেমলতার রূপ পাল্টে গেছে। কিছুতেই এই শারীর সাথে পারা যায় শা। অথচ, একসময় কত মেরেছেন হেমলতাকে। হেমলতার পিঠে, উরুতে, ঘাড়ে এখলো মারের দাগ আছে।
সময় কোন যাদুবলে হেমলতাকে পাল্টে দিল, জাশা নেই মোর্শেদের।
রাতের একটা শুট করে সবাই বিশ্রাম নিচ্ছিল। চিত্রা তখশ কথায় কথায় জাশাল, ‘লাহাড়ি ঘরে গিয়েছিলাম। মগা যে মেয়েটার কথা বলেছিল তাকে দেখতে।’
চিত্রার কথায় লিখশ আগ্রহ পেলো শা। চিত্রা কখনো কোনো মেয়ের প্রশংসা করে না। খুঁত খোঁজে বের করতে ভালো জানে। শিজেকে খুঁতহীন সেরা সুন্দরী মনে করে।
‘মেয়েটার শাম পদ্মজা।মগা, পুরো শাম জাশি কী?’
চিত্রা মগার সাথে কথা বললে, মগা খুব লজ্জা পায়। এখনো পেল। লাজুক ভঙ্গিতে জবাব দিল, ‘উম্মে পদ্মজা।’
‘ওহ হ্যাঁ। উম্মে পদ্মজা।’
চিত্রার পাশ থেকে সেলিনা পারভীশ প্রশ্ন করলেন, ‘কী শিয়ে আলাপ হচ্ছে?”
সেলিনা পারভীশ চলমান্স চলচ্চিত্রে চিত্রার মায়ের অভিনয় করছেন্স। চিত্রা বলল, ‘এই বাড়ির মালিক যিশি উলার বড় মেয়ের কথা বলছি। এমন সুন্দর মুখ আমি দু’টি দেখিনি। মেয়েটার মুখ দেখলেই বুকের ভেতর শিকষিত, বিশুদ্ধ ভালো লাগার জন্ম হবে। এতো শ্রী ভগবান্স দিয়েছেন মেয়েটাকে।’ লিখল সহ উপস্থিত সবাই অবাক হলো। চিত্রার মুখে কোনো মেয়ের প্রশংসা! অবিশ্বাস্য! সবাইকে অবাক হয়ে তাকাতে দেখে চিত্রা বিব্রতবোধ করল। গলার জোর বাড়িয়ে বলল, ‘সত্যি বলছি! সন্ন্যাসী ছাড়া কোনো পুরুষ এই
মেয়েকে উপেক্ষা করতে পারবে শা।’
পদ্মজাকে নিয়ে বেশখানিকক্ষণ আলোচনা চলল। আগ্রহ বেশি লিখন্সের ছিল। যখশ শুনলো পদ্মজার ষোল বছর সে দমে গেল। ছোট মেয়ে! হয়তো এমন বয়সী বেশিরভাগ মেয়েরা স্বামীর ঘরে থাকে। তবুও লিখশের পদ্মজাকে খুব ছোট মনে হচ্ছে। তার একটা বোন আছে, ষোল বছরের। এখনো দুই বেণি করে স্কুলে যায়। কত ছোট দেখতে! লিখল আসমণে হেসে উঠল।
হিজল গাছের শিচে দাঁড়িয়ে আছে পদ্মজা। রাতের জোনাকি পোকা চারিদিকে। পদ্মজা প্রায় রাতে মুগ্ধ হয়ে দেখে জোনাকি পোকাদের। মলে হয় দল বেঁধে হারিকেন নিয়ে শাচছে তারা। তবে, এই মুহূর্তে রাতের এই সৌন্দর্য পদ্মজার মনে ঢুকতে পারছে শা। পদ্মজা ঠোঁট কামড়ে কাঁদছে। চোখ দু’টো জ্বলছে খুব। মোর্শেদ রান্না খারাপ হওয়ার অজুহাতে থালা ভর্তি ভাত, তরকারি ছুঁড়ে ফেলেছে পদ্মজার মুখে। চোখে ঝোল পড়েছে। তা শিয়ে হেমলতার সেকী রাগ! মোর্শেদ অবশ্য চুপ ছিলেশ। তিশি তো রাগ মিটিয়েই ফেলেছেন। আর তর্ক করে কী হবে?
‘পদ্ম?”
পদ্মজা তাকাল। হেমলতা ভেজা কণ্ঠে প্রশ্ন করলেন্স, ‘খুব জ্বলছেরে মা?’
পদ্মজা জবাব দিতে পারল শা। ঠোঁট ভেঙে কেঁদে উঠল। মা ছাড়া পৃথিবীতে আর কেউ নেই তার। মায়ের আদর ছাড়া কারো আদর পাওয়া হয়নি। সবাই তার দোষ খোঁজে। হেমলতার বুক চিরে দীর্ঘশ্বাস বেরোল। পদ্মজা ছিঁচকাঁদুশে। ছোট থেকেই কাঁদছে। তবুও জল ফুরোয় না। মশ শক্ত হয় শা। এমশ হলে তো চলবে না! পদ্মজার কান্নার বেগ বাড়ল। হেমলতা সদ্য কাটা বড় গাছের বাকী অংশে বসলেশ। চুপ করে পদ্মজার ফোঁপানো শুনছেন। পদ্মজা শান্ত হয়ে মায়ের পাশে বসল। তার মাথা শত। হেমলতা উদাস গলায় বললেন,’এভাবে চলবে শা পর।
পদ্মজা তাকাল। হেমলতা বললেন্স, ‘শোশ পদ্ম, কেউ আঘাত করলে কাঁদতে নেই। কারণ মানুষ আঘাত করে কাঁদালোর জন্যই। আর যখন উদ্দেশ্য সফল হয় তখল তারা শান্তি পায়। যে আঘাত করল তাকে কেন শান্তি দিবি? শক্ত থাকবি। বুঝিয়ে দিবি তুই এতো দূর্বল নয়। যারে তারে পাত্তা দিস না। হাজার কষ্টেও কাঁদবি না। কান্না সাময়িক সময়ের জন্য মশ হালকা করে। পুরোপুরি শয়। যে তোকে আঘাত করবে তাকে তুই তোর চাল-চলশ দিয়ে ছিন্নভিন্ন করে দিবি। তখন তার মুখটা দেখে তোর যে শান্তিটা হবে সেটা কান্না করার পর হবে না। এই শান্তি স্থায়ী!’
হেমলতার কথা পদ্মজার উপর প্রভাব ফেলল শা। সে করুণ স্বরে বলল, ‘কিন্তু আব্বার ব্যবহার আমার সহ্য হয় না আম্মা। আমার সাথে কেন এমন করে আব্বা?
‘তাকে কখনো সামশাসামশি আব্বা ডাকার সুযোগ পেয়েছিস? পাসশি! তবুও
কেন আব্বা, আব্বা করিস?
তাকে তুই পাত্তা দিবি শা।’
‘তুমি খুব কঠিন আম্মা।’
‘তোকেও হতে হবে।’
‘আব্বা কেন এমন করে আম্মা? আমিকি আব্বার মেয়ে শা? আব্বা কেন বার বার বলেশ, আমি তার মেয়ে শা।’
হেমলতা চোখ সরিয়ে নেন। পরাজা জানে এই জবাব সে পাবে না। দাঁতে দাঁত চেপে কান্না আটকানোর চেষ্টা করে। হেমলতা এক হাত পদ্মজার মাথায় রাখেন।
‘কাঁদিস না আর। মায়ের রং শা হয় পাসশি। মায়ের মতো শক্ত হওয়ার তো চেষ্টা করতেই পারিস।’
পদ্মজা নির্লজ্জ হয়ে আবার প্রশ্ন করল, ‘আম্মা, আমি কি আব্বার মেয়ে শা?
বলো না আম্মা।’
পদ্মজার চোখ বেয়ে জল পড়ছে। খুব মায়া লাগছে হেমলতার। বুক ভারী হয়ে আসছে। তিশি আবেগ লুকিয়ে কন্ঠ কঠিন করার চেষ্টা করলেশ, ‘মার খাবি পদ্ম। কতবার বলব, তুই আমার আর তোর আব্বার মেয়ে।’
‘কি শাম আমার আব্বার?’
কী শান্ত কন্ঠ পরজার! হেমলতা চমকাল তবে প্রকাশ করলেন্স লা। মেয়েদের সামলে তিনি কখলো দূর্বল
হতে চান্স শ। পদ্মজার দিকে ঝুঁকে কণ্ঠ খাদে শামিয়ে বললেশ, ‘তোর আব্বার সাম মোর্শেদ মোড়ল।’
পদ্মজা হতাশ হয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল। মাকে খুব বিরক্ত লাগছে এখশ। খুব কঠিশ করে বলতে ইচ্ছে হচ্ছে, যাও এখাশ থেকে। আমার কাছে আর আসবা না। কখলো না।’
কিন্তু সে এমশ ব্যবহার বাস্তবে কখনো পারবে না। কখলো না। রাতের বাতাসে ভেসে আসছে হাসশাহেশা ফুলের ঘ্রাণ। আকাশে থালার মতো চাঁদ। ঝিরিঝিরি মোলায়েম বাতাস চারিদিকে। পদ্মজার চোখের জল শুকিয়ে গেল। হেমলতা ঝিম মেরে বসে আছেন। একসময় নিস্তব্ধতা কাটিয়ে একটা অসহায় কণ্ঠ ভেসে আসল।
‘মায়েরা তাদের জীবনের গোপন গল্প সন্তানদের বলতে পারে শারে পদ্ম।’ পদ্মজা তাকাল। হেমলতা ছলছল চোখে তাকিয়ে আছেন। পদ্মজার কান্না পেল। মানুষটাকে এতো শরম রূপে মাশায় না। পদ্মজা আশ্বস্ত করে বলল, ‘আমি আর কখলো জাশতে চাইব শা আম্মা।’
শুটিং দলের একজশও বাড়িতে নেই। সবাই স্কুলে মাঠে গিয়েছে। কয়দিশ ধরে শদীর ঘাটে যেতে না পেরে তৃষ্ণার্থ হয়ে উঠেছে পদ্মজা। এই সুযোগ হাতছাড়া করা যায় না। হেমলতার অনুমতি শিয়ে সে ঘাটে চলে আসল। ঘাটের সিঁড়িতে বসল। কয়েক সেকেন্ড পর টের পেল, গাশ বাজছে কোথাও। গালের সুর অনুসরণ করে কয়টা সিঁড়ি নেমে আসে। ঘাটের বাম পাশে বাঁধা নৌকায় একজশ পুরুষ বসে আছে। হাতে রেডিও। গালের উৎস তাহলে এখানেই। পদ্মজা বিব্রতবোধ করল। উল্টো দিকে ঘুরে ব্যস্ত পায়ে লাহাড়ি ঘরে চলে আসে। পদ্মজা এতো দ্রুত ফিরাতে হেমলতা প্রশ্ন করেন, ‘কেউ ছিল?’
পদ্মজা মাথা শাড়াল। হেমলতা চিন্তিত স্বরে প্রশ্ন ছুঁড়লেশ, ‘কিছু বলেছে? দেখতে কেমন?’
‘শা আম্মা, কিছু বলেশি। আমাকে দেখেনি। মাথার চুল ঝাঁকড়া। মুখ খেয়াল করিনি।’
‘এইটাই তো লিখশ শাহ। শায়ক।’
পূর্ণা পুলকিত হয়ে বলল। হেমলতা আর কিছু বললেশ শা।
পূর্ণা সারাক্ষণ শুটিং দলটার আশেপাশে ঘুরঘুর করে। হেমলতা বিরক্ত হয়ে পূর্ণাকে কড়া শিষেধ দিয়েছেল, আর না যেতে। যদি যায় মার একটাও মাটিতে পড়বে না। পূর্ণা ভয় পেয়েছে। কিন্তু লিখন শাহ আর চিত্রা দেবী জুটিটা এতো ভাল লাগে তার যে শুটিং না দেখলে দম বন্ধ লাগে। তাই সে চুপিসারে টিশে একটা ছিদ্র করেছে। হেমলতা সেলাই মেশিন লাহাড়ি ঘরের পিছল বারান্দায় রেখেছেন। সারাক্ষণ সেখানেই থাকেশ। সে সেময় পূর্ণা ছিদ্র দিয়ে উঁকি দেয়। শুটিং দেখে। পূর্ণাকে সবসময় দেখতে দেখে পদ্মজার আগ্রহ জাগল। সে উকি দিল।
ঝাকড়া চুলের মানুষটা একজশ অতি সুন্দরী মেয়েকে কোলে তুলে শিয়েছে। দৃষ্টি মোহময়। প্রেমময় গাশের সুরধ্বশি বাড়ি জুড়ে। ক্যামেরা ধরে রেখেছেন কেউ কেউ। গান্সের শুটিং বোধহয়! পদ্মজা অদ্ভুত অনুভূতি অনুভব করল। লজ্জা পেল। চোখ সরিয়ে শিল।
চলবে….